7 April 2011

মানুষ বড় কাঁদছে,বড় বিপন্নঃ সামনে লড়াই,জিততেই হবে

অনুনয় চট্টোপাধ্যায় 




“শক্তি পূজার প্রধান অঙ্গ বলিদান। সেই বলির রক্তে পৃথিবী ভেসে যাচ্ছে।”আজ থেকে নব্বই বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের আবহের মধ্যে দাঁড়িয়ে এই অশ্রু মেশানো অনুভব ব্যক্ত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সবুজপত্র-এর সম্পাদক প্রমথ চৌধুরীকে। পৃথিবী জুড়ে মানুষের পোড়া গন্ধ তখনও রোমাঁ রোঁলা,আঁরি বারবুস,ম্যাস্কিম গোর্কি প্রমুখকে বিচলিত করে রেখেছে, কেননা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভাগ বাটোঁয়ারার মধ্যেই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা ওৎ পেতে আছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “সে (জার্মান)বলিতেছে আমার জন্য যদি পাত পাড়া না হইয়া থাকে আমি নিমন্ত্রণ পত্রের অপেক্ষা করিব না আমি গায়ের জোরে যার পাই তার পাত কাড়িয়া খাইব।”অন্যত্র একটি প্রবন্ধে দার্শনিক কবি বলেছেন,“খেজুর গাছ তাল গাছ বিধাতার দান,তাড়িখানা মানুষের সৃষ্টি। তালগাছকে মারিলেই নেশার মূল মরে না। যন্ত্রের বিষদাঁত যদি কোথাও থাকে,তবে সে আছে আমাদের লোভের মধ্যে।” এই লোভের কামড় আজ নানা রূপে নানা বেশে সারা বিশ্বে পরিব্যপ্ত। রক্তাক্ত আফগানিস্তান,ইরাক,ইরান,প্যালেস্তাইন- হাজার হাজার টন বোমার আঘাতে শ্মশানভূমি সেই সব দেশ। সারা বিশ্বে সন্ত্রাস,কার বিরুদ্ধে কার সন্ত্রাস যুক্তি বুদ্ধির সীমায় ধরা পড়ছেনা। কে যোগাচ্ছে এত মারণাস্ত্র,এত অর্থ অসামরিক মানুষের হাতে। এরা কখনও ইসলামের নামে জেহাদি,কখনও খ্রীষ্টের নামে হন্তারক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ক্রমান্বয়ে ইউরোপ থেকে লোভের শ্যেন দৃষ্টি এশিয়াভূমির উপর নিবদ্ধ হচ্ছে। ভিয়েতনামের আগুন নিভতে না নিভতে সারা এশিয়া জুড়ে হিংসার আগুন,সন্ত্রাসের চোরাগুপ্ত হত্যালীলা। লোভের নতুন শৈলী। সন্ত্রাসের ধর্মীয় নামাবলীর আস্তিনের নীচে রাজনীতির মারণাস্ত্র। ফলশ্রুতি, সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের কান্না,অবিরত চোখের জল।

আমাদের স্বদেশ। সেখানেও হাহাকার,মায়ের কান্না, স্ত্রীর সীমন্ত মুছে যাওয়া,শিশুর বোবা বিহ্বল বিস্ফারিত চোখ- আমাদের মনুষ্যত্ব,আমাদের হৃদয় ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমে মুম্বাই থেকে পুবে অসম,উত্তরে দিল্লী,কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে হায়দ্রাবাদ- জঙ্গি হানায়,বোমা বিস্ফোরণে জনপদে রক্তের স্রোত,মৃত্যুর মিছিল। কারা ঘটায় এসব? আমরা কি চিনি এদের? কী চায় এরা? রাষ্ট্র কি এদের জানে,এদের চেনে,সমাধান হয় না কেন? কোন পথে এসবের সমাধান কেউ জানে না। এসবের শিকড় নাকি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও,প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির পরষ্পরের উপর দোষারোপ,কূটনীতির চালাচালি,মাঝে মাখে সমরাস্ত্র প্রয়োগের বিনিময়। বছরের পর বছর জারি থাকে উত্তেজনা,বিভিন্ন নামের আড়ালে সন্ত্রাস।

অন্তঃরাষ্ট্র,বহিঃরাষ্ট্র সন্ত্রাস,জঙ্গি হানার সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়া মাওবাদী সন্ত্রাস,নতুন ইউনিফর্ম,গায়ে লেখা শ্রেণীযুদ্ধ,বিপ্লব,শোষণ, মুক্তি ইত্যাদি। সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র এদের হাতে। পাঁচ-ছয়টি রাজ্যে এরা সর্বশক্তিমান রাষ্ট্রীয় শক্তিকে কোণঠাসা করতে সচেষ্ট। সকালের খবরের কাগজ বা দূরদর্শনের চ্যানেলে চোখ রাখলেই শিউরে উঠতে হয়। নিহত মানুষের বিচিত্র নিথর শরীর। গুলিবিদ্ধ বুকে শুকানো রক্তের মানচিত্র,মাছি ভনভন করছে,গলার নলিতে আততায়ীর নৃশংসতা অথবা মাথার খুলিতে ভাঙনের কি আশ্চর্য হিংস্রতা। পাশে শোকে কান্নায় গড়াগড়ি পরিবার পরিজনের আলোকচিত্র। এ চিত্র শুধু বাংলায় নয়,ঝাড়খন্ড,ছত্তিশগড়,অন্ধ্র,অসম,গুজরাট,মুম্বাই সর্বত্র। সভ্যতা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কোথাও ইসলামি,খ্রিস্টানি,হিঁদুত্বের জিহাদ,কোথাও বা মাওবাদী বিপ্লবী জিহাদ। এসবই তো শক্তিপূজার অনিবার্য আচার। মরে যাক ছৌ নাচের শিল্পী, টিনের চাল ছিটে বাঁশের ক্লাসঘরে পাঠদানরত শিক্ষক,মুদির দোকানি,ক্ষেতে চাষরত এক চিলতে জমির মালিক কৃষক,জঙ্গল থেকে শুকনো কাঠ কিংবা কেঁদু পাতা সংগ্রহ করে ফেরা আদিবাসী মজুর। খুনির ছুরি কিংবা আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়েছে এদের প্রাণ। হয়তো তিনদিন ধরে জঙ্গলের সীমানায় খাটিয়ায় পড়ে আছে তার নিথর দেহ,শেষকৃত্য অপেক্ষা করে থাকে এইসব নিতান্ত গরীব মানুষদের। এরা নাকি শ্রেণিশত্রু। দুবেলা পেটভরে সপরিবারে খাওয়াও জোটে না হয়ত। বৌ-বাচ্চার সামনেই তার শরীরে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে মা-মাটির বুলেটের দানা।

প্রতিদিনের মৃত্যুমিছিল। একঘেয়ে হয়ে গেছে,এ সংবাদে আর উত্তেজনা নেই, তাই সংবাদপত্রের প্রথম পাতা সাতের পাতায় চালান হয়ে গেছে। আমরা সামান্য শোকবাক্য উচ্চারণ করতে ভুলে যাচ্ছি। নিরীহ মানুষের অবাঞ্ছিত মরণে মানুষ হয়েও নিশ্চুপ থাকা অভ্যাস করছি। স্বাভাবিক শোকের বর্ণমালাও ভুলেছি আমরা। আমাদের স্বভূমিতে এখন লাশকাটা ঘরের নিস্তব্ধতা। চতুর্দিকে শিয়াল কুকুরের চিৎকার। পশুমূর্তির পায়ে আমাদের অনেকের বিবেক হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে নীরবে, সামান্য একটু উচ্ছিষ্টের লোভে। আমাদের শোকও এখন রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ন্ত্রিত। হায় গণতন্ত্র। তুমি কি আমার শোক উচ্চারণের জিভও ছিড়ে নিতে পার!

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে, সভ্যতাকে বর্বরতার খাটিয়ায় চাপিয়ে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কাঁধে খুনী-নেতা বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমের সংবাদ বিতরণী চ্যানেলে খুন ও হত্যার ন্যায্যতা দাবী করেন সভ্য সমাজের কাছে। পরম আহ্লাদে রাজনৈতিক সমর্থনও পেয়ে যায়,বুদ্ধিজীবিদের বিবেকের ছাড়পত্রও। শহর থেকে বুদ্ধিজীবিরা গিয়ে খুনীদের আশীর্বাদ করে আসেন, অর্থ জোগান দিয়ে আসেন। অবিরাম খুনের স্বপক্ষেও দাঁড়ায় নানা সামাজিক তত্ত্ব, কোনো এক রাজনৈতিক দল বা জননায়কের নামচিহ্ন ধারণ করে। এরাও মানবিক। এদেরও প্রয়োজন শুধু ক্ষমতার সোপানে তরতর করে উঠে আসা কিংবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বেদি থেকে চুঁইয়ে পড়া বা উচ্ছিষ্ট ভোজে গা-গতরে ফুলে ফেঁপে ওঠা। শক্তিপূজা ছাড়া ক্ষমতার স্বাদগ্রহণ অসম্ভব।

এই মৃত্যুস্রোতের রক্তাক্ত কাদামাটির মধ্যে দাঁড়িয়ে নির্বিকার থাকবেন প্রসাদভোগী বুদ্ধিজীবিরা। রবীন্দ্রনাথের মত করে আমরা তাহলে বলব,“এরা বসুন্ধরাকে এমন জায়গায় পরষ্পর বখরা করে নিতে চায় যে জায়গাটা যথেষ্ট নরম,অনায়াসেই যেখানে দাঁত বসে,এবং ছিঁড়তে গিয়ে নখে যদি আঘাত লাগে নখ তার শোধ তুলতে পারে।”আমাদের জঙ্গলভূমি, আমাদের শ্রমনিষ্ঠ মানুষের শরীর তেমন বখরা করে নেওয়ার জমি হয়ে উঠল! আমরা তবু নির্বাকই থেকে যাব! মানুষ বিভ্রান্ত! আমাদের রাষ্ট্রের নাম তো ভারতবর্ষ। উন্নয়নের মুখ্য চাবিকাঠি তো সেখানে। স্বাধীনতার ষাট বছর পরেও এতো দারিদ্র, এতো অন্ধকার! ঋণের দায়ে আত্মহননের ভারী সংখ্যা গড়ে তোলেন বেশ কয়েকটি রাজ্যের হতভাগ্য কৃষক। হ্যাঁ আজও। শুধু একটি বা দুটি রাজ্যে পরিবর্তনের জন্য তবে কেন এত রক্তপাত।

যাঁরা দুদিন আগেও নন্দীগ্রামের সময় কেঁদে ভাসিয়েছেন,সেই বুদ্ধিজীবিদের চোখে জল নেই কেন? মানুষ বড় কাঁদছে। চতুর্দিকে শিশুনারীসহ মানুষ পুড়ছে,পোড়া গন্ধে বাতাস ভারী। এতগুলি মৃতদেহ,প্রায় প্রতিদিন,তাও তাঁদের বিবেকের প্রশান্তিতে এতটুকু কাঁদন আনতে পারেনা। চোখের জল,বিবেকের স্বর,তাও পক্ষপাতের খাত মেনে চলতে শিখেছে। যাঁদের বিবেক এখনও ক্রীতদাস হয়ে ওঠেনি তারা কি করবে এখন? ঘৃণা উচ্চারণ? মনে পড়ছে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক শরহান পামুক-এর ‘স্নো’উপন্যাসখানার শেষ মুহুর্ত। অগণন মৃত্যুর ইতিবৃত্ত,উৎস বর্ণণার পর কথাকার উচ্চারণ করেছেন একেবারে শেষ তিনটি শব্দ- I began to cry। মৃত্যু সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের এই নিষ্ঠুর ভূমিতে দাঁড়িয়ে আসুন আমরা অন্তত কাঁদবার সততাটুকু অর্জন করি। সেই সঙ্গে মানবতার এই শত্রুদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করি।

নৈরাজ্যের এই সর্বময় পরিস্থিতিতে দক্ষিণপন্থী দল,বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি,মাওবাদী নামের সশস্ত্র হিংস্র দল,সুযোগলোভী সোশ্যালিস্ট নামচিহ্ন বহনকারী বামপন্থী দল- এই বহুবর্ণের জোটে যোগ দিয়েছেন একদল বুদ্ধিজীবি। এঁরা যশ,প্রচার অর্থলোভ থেকে এবং কেউ কেউ ব্যক্তিগত অসূয়া থেকে দক্ষিণপন্থী দলের সাথে জোটবদ্ধ হলেন। ‘পরিবর্তন চাই’নিনাদ তুলে হোর্ডিং-এ বিজ্ঞাপিত করে দিলেন নিজেদের মুখপট। বিনিময়ে নগদমূল্যও পেয়েছেন এঁদের অনেকে। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রেল বিভাগের অধীনে নানা কমিটি,পর্ষদ খুলে এই বুদ্ধিজীবিদের জন্য মোটা টাকার মাসোহারা,দপ্তর,গাড়ি- ইত্যাদি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাট্যদল,সংগীত সংস্থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি দপ্তর থেকে সংগঠিতভাবে কোটি কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে ঢালাও ভাবে। এই রাজ্যে বামপন্থী দল, বামপন্থার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে চালিত করতে,নৈরাজ্যের শক্তিকে বৈধতা দান ও গৌরবান্বিত করতে এই উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধিবৃত্তিধারীরা প্রবল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। নেতৃত্বে রয়েছেন কয়েকজন তথাকথিত তৃণমূলী বুদ্ধিজীবি,নাট্যজীবি।  

Bengal Polls: Rightist Intellectuals incube Para-social interaction

Sayon Ganguly













With the assembly polls doing rounds in the state, the Rightist allaince have started it all over again. The prospective candidates, the expected result, the blessings of the mass they would get, and what not. Along with the bifurcating political equations, another thing that has assessed the political situation is the entry of the so called celebrities in the poll drama.

Now, one may wonder what that has got to do with the fate of the assembly polls. Let’s be very clear in a fact that the state is going to witness the most important poll of the millennium. The in-power Left front or the oppositions in the Trinamool Congress, both the groups would try it out to get back to the power lurk once and for all. For most of the parties in the Indian politics, celebrity handling remains one of the major weapons to win the poll match, and West Bengal is no exception to it.

Here too, the Trinamool Congress, who are eyeing to stage to be in the power hunching politics have made it clear that celebrity management is going to be the key affair to register wins in the ballots.

Promoting the para-social interaction mode of communication (unknowingly though), the right parties are trying to win over the people. As communication theorist John Fiske and James Watson puts it, “para-social interaction is the process of communication, directed to the heavy viewers, who can actually relate a star with his next door neighbour.”

That is it. After dramatic success in the last Lok Sabha elections, the Trinamool Congress is now largely trying to sweep away the heavyweight poll battle by presenting a chunk of celebrities. Celebrities, as the adage rightly says, ‘packs and sells a product well’, are going to be the second largest factor in the assembly polls of the state. Incidentally, the party is strategically trying to place them in specific genres.

An intellectually acclaimed celebrity would be a plausible choice for the urban area; while once upon a time film hero (who has produced innumerable melodramatic potboilers in his days) is well going to be the probable candidate in the rural belt. Particularly so, the leader of the oppositions are even making it clear that the para-social interaction is rightly planned.

For the entire write up follow the link: http://www.thescape.in/newsdetail.asp?newsid=2075

23 March 2011

Globalization: The Transformation versus Non-Transformation Debate


Shyamashree Roy



















Globalization has different meanings to different people. Some analysts prefer to use the more specific term ‘international economic integration’, thereby focusing on the economic and financial aspects. On the other hand, globalization has reached into political, social and cultural dimensions. Modern states need to deal with all dimensions. Globalization can usefully be thought of as a multi-dimensional process, informed by significant intensification of global inter-connectedness between the state and non-state actors.

Jeffrey Haynes in his book, Comparative Politics in a Globalizing World (2005) writes that historically globalization encompasses three inter-linked, yet distinct processes. Firstly, a global states’ system developed from the 16th century, moulded by European imperialism and colonialism. This gave rise to forms of states and governments, based on western models (whether presidential, monarchical or Marxist). Secondly, there developed at the same time, a global capitalist economy. This, arguably, divided the world into ‘core’, ‘inter-mediate’ and ‘peripheral’ economic zones or areas. In recent times, there have been not only great increases and development in international economic interactions, involving states and transnational corporations (‘economic globalization’), but also absorption and integration of the former Eastern European Communist bloc to produce a truly global capitalist economy. And thirdly, both political and economic globalization, since the 18th century, was underpinned by industrial and technological revolutions that simultaneously and collectively influenced global patterns of both industrialization and communications.

Although public references to globalization have become increasingly common, the concept itself can be traced back to a much earlier period. Its origin lie in the work of many 19th century and early 20th century intellectuals from Saint Simon and Karl Marx, to theorists of geo-politics, such as Mackinder, who recognized how modernity was integrating the world. But it was not until the 1960s and early 1970s that the term ‘globalization’ was actually used. In the context of a debate about the growing interconnectedness of human affairs, world system theory, theories of complex interdependence and the nation of globalization itself emerged as largely rival accounts of the processes through which the fact of states and peoples was becoming more intertwined.
According to David Held and McGrew, Goldblatt and Perraton in their book, ‘Global Transformations: Politics, Economics and Culture’, “…there is substantial disagreement as to how globalization is best conceptualized, how one should think about its causal dynamics and how one should characterize its structural consequences if any. A vibrant debate on these issues has developed in which it is possible to distinguish three broad schools of thought, which we will refer to as the hyperglobalizers, the sceptics and the transformationalists. In essence each of these schools may be said to represent a distinctive account of globalization – an attempt to understand and explain this social phenomenon.”

For the hyperglobalizers, globalization defines a new epoch of human history in which ‘traditional nation- states have become unnatural, even impossible business units in a global economy’ . Such a view of globalization privileges an economic logic and in its neo-liberal variant, celebrates the emergence of a single global market and the principle of global competition as the harbingers of human progress. “Hyperglobalizers argue that economic globalization is bringing about a ‘denationalization’ of economies through the establishment of transnational networks of production, trade and finance.”  According to the globalists, the impersonal forces of world markets are now more powerful than the states to whom ultimate political authority over society and economy is supposed to belong. The declining authority of states is reflected in a growing diffusion of authority to other institutions and associations and to local and regional bodies. According to the globalists the nation states are increasingly becoming ‘a transitional mode of organization’ for managing economic power and political power are effectively becoming de-nationalized and diffused.

The globalists express a generally positive view and perception of globalization. This was in sync with the belief that was prevalent in early 1990s, especially the post-cold war period, that a propitious or benign ‘new-world order’ would develop, after the Cold War. It would be characterized by increased and enhanced international cooperation, integration and progress on a range of peace and development goals, an initiative directed by, but not restricted to United Nations alone. The goal and aim would be to address a wide range of enduring and perennial-political, social, economic, development, environmental, human rights and gender-concerns and injustices. Globalists believe that it is necessary to develop a range of dedicated state and non-state actors – global institutions and organizations, to address such concerns. In fact, the coming together of local groups and grass roots organizations from various parts to form an important component of transnational civil society is the key for success in this regard.

Anti-globalists, on the other hand, declare a pessimistic view of globalization, regarding it as ‘a force for oppression, exploitation and injustice’ . The skeptics or anti-globalists consider the hyperglobalists’ thesis as fundamentally flawed and also politically naïve since it under estimates the enduring power of national governments to regulate international economic activity. According to anti-globalists, the forces of internationalization themselves depend on the regulatory power of national governments to ensure continuing economic liberalization. They point out to the national governments’ growing centrality in the regulation and active promotion of cross-border economic activity. Governments are not the passive victims of internationalization but on the contrary, its primary architects. Skeptics reject the popular myth that the power of national governments or state sovereignty is being undermined today by economic internationalization or global governance (Krasner, 2001). Anti-globalists point to what any see as unwelcome consequences of globalization, including: restructuring of global trade, production and finance to disadvantage the poor; migratory and refugee movements in the developing world and the former eastern European communist bloc; international terrorism; cultural clashes exemplified both by ‘conflicts between immigrant and established communities in formerly tight-knit neighbourhoods’ (Mittleman, 1994).

For entire write up follow the link: http://www.thescape.in/newsdetail.asp?newsid=2020

অলংকার নয়-ঋত্বিক ঘটকের চোখে দেশভাগ প্রকৃতপক্ষে জীবন সংগ্রামের উৎস


সুদক্ষিণা ধর











আমাদের দেশের সিনেমা শুরুর ইতিহাসে হলিউড ঘরানার বিশেষ প্রভাব দেখা যায়,কিন্তু ঋত্বিক ছিলেন হলিউডী প্রভাব থেকে একেবারেই মুক্ত দেশজ আবহাওয়ায় চলচ্চিত্রের মৌলিক ভাষাটাকে ভেঙ্গে চুরে নতুন medium-এর হদিশ ঋত্বিকের ছবিতেই প্রাপ্তি ঘটে ভারতীয় দর্শকের ঋত্বিক ঘটকের আটটি ছবিতেই  হলিউডের প্রভাব মুক্ত চারিত্র্যধর্ম, চলচ্চিত্রের একান্ত নিজস্ব, ভাষা, প্রত্যেকটি ছবিতে দৃশ্য পরিকল্পনা রূপকল্প নির্মাণ, চলচ্চিত্রের আবহসৃষ্টি, ধ্বনিসংগীতের অব্যর্থ প্রয়োগ, দেশীয় লোকাচার ,লোকসঙ্গীত, মিথ, বিশ্বাস ইত্যাদিউপস্থাপন ও প্রয়োগ নৈপুন্যে  ঋত্বিক ঘটক একক ও অনন্য তাঁর ছবিগুলিতে দেশভাগের যন্ত্রনা, উদ্বাস্তু সমস্যা, ছিন্নমূল মানুষের জীবন যন্ত্রনা, ভ্রান্ত রাজনীতি, নিয়ম নীতিহীন সংস্কৃতি-এরকম বিভ্রান্ত , হতাশ প্রিবেশের অসহায়তা, হতাশা ঋত্বিকের ছবিতে একেবারে নতুন আঙ্গিকে প্রস্ফুটিত হয়েছে

ঋত্বিক ঘটকের তিনটি ছবি মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার  সুবর্ণরেখা যেগুলিকে বহু সমালোচক ত্রয়ী আখ্যা দিয়েছেন,সমগ্রভাবে ১৯৪৭র দেশভাগজনিত সমস্যার প্রতিফলক ১৯৪৭এ ভারতবর্ষ স্বাধীনহয়েছিল,কিন্তু এই দেশভাগ এবং দেশভাগজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতি বাংলার জীবনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব-বিস্তার করেছিল সারা দেশের মানুষের মতোই ঋত্বিক ঘটকের কাছে দেশভাগ ছিল একঅযাচিত, অবাঞ্ছিত, অনভিপ্রেত ঘটনা ১৯৪৭র ক্ষমতা হস্তান্তরকে ঋত্বিক বলেছেন “Great betrayal”, অর্জিত স্বাধীনতাকে বলেছেন খন্ডিত আমাদের দেশের সমাজ অর্থনীতির স্তরেযে ঘনীভূত অব্যবস্থা, রাজনীতি সংস্কৃতিতে যে ব্যপ্ত নৈরাজ্য তার কেন্দ্রবিন্দুহিসাবে ঋত্বিক বঙ্গবিভাগকে চিহ্নিত করেছেন বারবার বঙ্গভাগের ফলে উদ্বাস্তুমানুষগুলোর মূল্যবোধ পরিচিতির টানাপোড়েনে চিন্তিত ছিলেন ঋত্বিক ঘটক ঋত্বিকের নিজস্ব মতে, তিনি ছবিতে যে বিষয়টি ধরতে চেয়েছেন তা হচ্ছে আজকের বাংলাদেশেরঅর্থনৈতিক, রাজনীতিক ও সামাজিক সংকটের কথা আর এই সংকটের প্রথম বলি হচ্ছে বোধশক্তির বিসর্জন’’ ঋত্বিক ঘটককে অধিক মাত্রায় বিচলিত এবং ভাবিত করে তুলেছিল মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী সমাজের মূল্যবোধ আদেশের অধ:পতন, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এবংসর্বোপরি দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মিলনের স্বপ্ন ইত্যাদি বিষয়গুলির প্রতি একটা নিদারুণ বিরাগ, বিরক্তি, হতাশা ও আবেগ তাঁর প্রায় প্রত্যেকটি ছবিতে বর্তমান 

দেশভাগের ফলে উদ্ভুত ভাঙন, বিচ্ছিন্নতা, আদর্শগত বিচ্যুতি, মূল্যবোধের ভাঙণ, অথনৈতিক সমস্যা এই প্রত্যেকটি বিষয়কে ঝত্বিক তার এই ছবিগুলির মাধ্যমে মানুষের কাছে জ্ঞাপণ করেছেন একটা কিছু করতে হবে এইইচ্ছায় মধ্যশ্রেনী সুলভ আবেগে ঋত্বিক অনুভব করেছিলেন, চারপাশে যা ঘটছে তার প্রতিবাদকরা অবশ্যই প্রয়োজন; চারপাশের অন্যায় অপরাধকে নগ্ন করে দেওয়া প্রয়োজনতাঁর চরিত্রছিল বলিষ্ঠ-এই বলিষ্ঠতার জন্যই ছবি করার প্রচলিত পদ্বতিগুলি না মেনে নিজের বক্তব্যকে সোজাসুজি তুলে ধরতে পেরেছিলেন ঋত্বিকের ছবির চরিত্রগুলি আপাত বিচারে আত্মসমর্পণকরছে মনে হলেও ভিতরে ভিতরে তারা এক প্রতিবাদ তৈরী করে দেয় ঝত্বিকের ছবির প্রতিবাদগুলি সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে তাঁর ছবির আশাবাদও তাই স্পন্দিত করে
ঋত্বিকের নিজের জীবন এবং চলচ্চিত্র জীবনমিলিয়ে দেশভাগ ও দেশভাগ উদ্ভুত সমস্যা শুধুমাত্র সিনেমায় ব্যবহারের অলঙ্কার হিসেবেনয়, দেশভাগ তাঁর কাছে জীবন সংগ্রামের উৎস বেঁচে থাকার অধিকার হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।
মেঘে ঢাকা তারা ছবিটি প্রত্যক্ষ সামাজিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে যদিও এখানে অর্থনৈতিক সমস্যা প্রকট ঐতিহাসিক ভাবেত্রিশঙ্কু মধ্যশ্রেণীর স্বার্থবোধ, নোংরামি সবই জন্ম নেয় অর্থনীতির চাপে-তা এখানে ধরা পড়ে এই ছবিতে বৃদ্ধ পিতা মাতা বেকার ভাই-বোনদের দরিদ্র সংসারের দায়িত্ব মাথায়নিয়ে উদ্বাস্তু নেয়ে নীতা তার দাদা শঙ্করের ও প্রণয়ী সনৎ-এর প্রতিষ্ঠত হবার স্বপ্নদেখে এবং তার জন্য সমস্ত স্বার্থ নিজেকেও বলি দেয় ঋত্বিক ঘটক নীতার উদ্দেশ্যেশঙ্করের মুখে একটা মজার কবিতা রেখেছিলেন তোমার খুকি চাঁদ ধরতে চায়/ গণেশকে সে বলে গনুশ।"

For the entire write up follow the link: http://www.thescape.in/bangla/newsdetail.asp?newsid=8


21 March 2011

শেষ হল মোটরসাইকেল ডায়েরিঃ চলে গেলেন আলবার্তো গ্রানাদো


দূর্বা ব্যানার্জী











সালটা ১৯৫১, পুরোনো একটা মোটরসাইকেলে চড়ে বেরিয়ে পড়েছিল দুই স্বপ্নসন্ধানী যুবক অভিযানের নেশায় আর্জেন্তিনা থেকে চিলির উদ্দ্যেশ্যে। দুই যুবকের মধ্যে ছোটোজন ২৩ বছরের এক ডাক্তারি ছাত্র নাম আর্নেস্তো চে গুয়েভারা, আর প্রায় বছর ছয়েকের বড় যুবকটিও ডাক্তারির ছাত্র, নাম আলবার্তো গ্রানাদো। ছোটো চে অনেকদিন আগেই ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর সমস্ত পৃথিবীর মানুষকে বিপ্লবের নতুন সংজ্ঞা শিখিয়ে চলে গেছেন, ২০১১ সালের ৫ই মার্চ চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় স্বপ্নসন্ধানী যুবক, আজন্ম বিপ্লবী, মানবমুক্তির সংগ্রামের অবিস্মরণীয় ভগীরথ ৮৮ বছরের আলবার্তো গ্রানাদো ।

আর্জেন্টিনার কোরডোবাতে ১৯২২ সালের ৮ই আগষ্ট জন্ম হয় চের মোটরসাইকেল অভিযানের সঙ্গী আলবার্তো গ্রানাদোসের । গ্রানাদোর বাবা ডিওনিসিও টি গ্রানাদোস ছিলেন আদতে স্প্যানিশ, আর্জেন্টিনায়ে রেলকর্মচারী থাকাকালীন তিনি সক্রিয়ভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করতেন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান গ্রানাদোস কেমিস্ট্রি এবং বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে কোরডোবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করার পর স্থানীয় লেপ্রোসিস্যানাটোরিয়ামে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীকালে বায়োলজিকাল সায়েন্সে ডক্টরেট ডিগ্রীর অধিকারী হয়েছিলেন গ্রানাদোস।

নিত্য দারিদ্র্যকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকা এই দুই যুবক নতুনের খোঁজে পাড়ি লাগিয়েছিল তাদের ১৩বছর বয়সী প্রিয় মোটসাইকেল লা পোডেরসাবা দ্য পাওয়ারফুল কে সঙ্গে নিয়ে। দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার ধকলে অকেজো হয়ে যাওয়া প্রিয় মোটসাইকেল লা পোডেরসাকে চিলির মাটিতেই বিসর্জন দিয়ে কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো কোনো চলতি গাড়িতে করে দুই বন্ধু এগিয়ে গিয়েছিল মানুষের দুঃখ, দারিদ্র্য, শোষণের হাত থেকে মুক্তির পথ খোঁজার জন্য। এই যাত্রার অভিজ্ঞতা তাঁরা দুজনেই ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন যার উপর ভিত্তি করে ২০০৪ সালে ওয়াল্টার সেলস্ বিখ্যাত মোটরসাইকেল ডায়েরী সিনেমাটি তৈরী করেন। দুই বন্ধুই মার্কসীয় আদর্শে অবিচল ছিলেন; রাজনৈতিক সচেতনতার জন্য গ্রানাদোস ১৯৪৩ সালে আর্জেন্টিনার মিলিটারী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বেশ কিছুদিনের জন্য তাঁর  কারাবাস হয়েছিল।  

কেবলমাত্র দেশভ্রমণ বা অ্যাডভেঞ্চারের নেশাতেই তাঁরা বেরিয়ে পড়েননি। দীর্ঘ এই পথে চলার সময় তাদের মনে বহু চিন্তা এসেছিল, গ্রানাদোসের উক্তি থেকেই জানা যায় সেই সম্পর্কে। গ্রানাদোস লিখেছিলেন তাঁর ডায়েরীতে, আমি সমগ্র বিশ্বকে দেখতে চাই, কিন্তু সবার আগে দেখতে চাই আমার নিজের ভুমি লাতিন আমেরিকাকে। তবে তা এক ভ্রমনার্থীর দৃষ্টি দিয়ে নয় যে কেবলমাত্র আনন্দের জন্য, সৌন্দর্যর প্রতি আগ্রহী, আমি দেশের একজন মানুষের আকাঙ্খা, সাহসের দৃষ্টি দিয়ে দেখতে চাই। সেইভাবেই দেখেছিলেন গ্রানাদোস তাঁর লাতিন আমেরিকাকে। বয়সে বড় হলেও চের সাথে গ্রানাদোসের সাহিত্য, রাজনীতি বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো তাদের দীর্ঘ পথ পাড়ির সময়। প্রায় সাতমাসের উপর লাতিন আমেরিকার পথে প্রান্তরে চলার সময় মানুষের চরম দুর্দশা দেখেছিলেন এই দুই যুবক; তবে চিলির এক তামার খনির শ্রমিকদের অবস্থা তাদেরকে সবথেকে বেশী আলোড়িত করেছিল। আমেরিকান মালিকানার এই খনিটিতে শ্রমিকরা প্রায় ক্রীতদাসের মতো পরিশ্রম করত ঊপার্জনের তাগিদে,তাদের মধ্যে বেশীরভাগই আক্রান্ত ছিল সিলিকোসিস রোগে । গ্রানাদোস তাঁর ডায়েরীতে লিখে গেছেন যে প্রথমে তাঁরা এই কারখানার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা যথেষ্টই মুগ্ধ হলেও এখানকার উৎপাদিত পণ্যের লাভ ধনতান্ত্রিক দেশের সম্পদের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে এই তথ্য উপলব্ধি করে তাদের মনে চরম ঘৃণা ও ক্রোধের উদ্রেক হয়েছিল।

দুই যুবকের যাত্রা শেষ হয় ভেনেজুয়েলার কারাকাস শহরে। এরপর মানুষকে দুঃখ, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই বন্ধুর সংগ্রামের পথ হয়ে যায় ভিন্ন। চে এগিয়ে যান সশস্ত্র বিপ্লবের দিকে, তাঁর পরিচয় হয় কিঊবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে এবং নতুন সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যান পেরু, বলিভিয়া, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর হয়ে। অন্যদিকে আর এক যুবক গ্রানাদোস ভেনেজুয়েলাতে থেকে যান এবং মানুষের চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে শুরু করেন সংগ্রাম। কুষ্ঠরোগ নির্মূল করার জন্য ক্রমাগত চর্চা চালিয়ে যান গ্রানাদোস এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে বিভিন্ন গবেষনা শুরু করেন । পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে চের আমন্ত্রণে তিনি বিপ্লবোত্তর কিউবাতে যান এবং একদিকে হাভানাতে চিকিৎসা শিক্ষা চালান, অপরদিকে সান্টিয়াগোতে একটি চিকিৎসা শিক্ষণ বিদ্যালয় স্থাপন করেন। গ্রানাদোস এই সময়ে কেবলমাত্র চিকিৎসাক্ষেত্রেই চেকে সাহায্য করেন নি, তিনি ১৯৫৯ সালে আর্জেন্টিনার গেরিলাযুদ্ধের অনুশীলনেও যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। নতুন সংগ্রামের প্রস্তুতি এবং তাকে সফল করার কাজে চের সাথে সাথে যথেষ্ট অবদান ছিল আলবার্তো গ্রানাদোসেরও। চের মৃত্যুর পর জাতীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমগ্র দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন গ্রানাদোস।

গ্রানাদোস তাঁর ডায়েরীতে বারবার লিখেছেন কিউবার সংগ্রাম, কিউবার উন্নয়নে চে যেভাবে সততার সাথে তাঁর ভূমিকা পালন করেছিলেন অন্য কেউ তা হয়তো পারতেন না। একজন বিপ্লবীর দৃষ্টিতে এবং এক অভিন্নহৃদয় বন্ধুর দৃষ্টিতে তিনি চেকে পর্যালোচনা করেছিলেন। গ্রানাদোস চের সম্পর্কে লিখেছেন, চের চরিত্রের যে বিষয়টা আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করতাম সেটা হল চের সততা...কোনো নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীকে ইতিবাচক অভিমুখে পরিবর্তন করানোর এক অসাধারণ বৈপ্লবিক ক্ষমতা ছিল চের।  

বর্তমানে যখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশ চরম দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠছে এবং শ্রেণী অসাম্য তীব্র হয়ে দেখা দিচ্ছে সারা পৃথিবীজুড়েই, এই অস্থিরসময়ে আজ চের অভাব খুব বেশী করে অনুভূত হচ্ছে। আজ চে গুয়েভারাকে যখন কেবলমাত্র মার্কিনী ফ্যাসনের প্রতিকৃতি হয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর সংগ্রামকে গৌন করে দিয়ে, তখন গ্রানাদোসের তার বন্ধুর সম্পর্কে বলা উক্তিটি মনে রাখার মতো, চে কোনো ভগবান নয় যাকে পুজো করতে হবে, তিনি একজন মানুষ ছিলেন যাঁকে অনুসরণ করে আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজের সেরাটা প্রয়োগ করে কাজ করার চেষ্টা করতে পারি।”‘লা পোডেরসা সেই মোটরসাইকেলটা অনেকদিন আগেই হারিয়ে গেছে চিলির রাস্তায়...চলে গেছেন চে গুয়েভারা, এবার চলে গেলেন সেই বিখ্যাত অভিযানের শেষ বিপ্লবী আলবার্তো গ্রানাদোস, যিনি নিঃশব্দে সবসময় পাশে ছিলেন চের আন্দোলনের এবং সারাজীবন নিজের সেরা কাজগুলো উজাড় করে সেবা করে গেছেন সমগ্র মানবজাতির

17 March 2011

Raol Peck: Robust Conscience of Patrice Lumumba

by Pradip Biswas




















This seminal paper on Patrice Lumumba is dedicated to my perpetual mentor Mrinal Sen, the Guerilla fighter of International Cinema
 
“History will one day have its say”.
Patrice Lumumba

             
 
Raoul Peck, the resonant voice of Haitian cinema, is the first ever filmmaker with a robust courage to showcase the atrocities of sub-African political reality through his films. It is indeed at Haiti that he was born and that he has created an indelible history by making a stirring film on Patrice Lumumba, the revolutionary figurehead of Cong. Called Lumumba: The Death of A Prophet, the feature-length documentary by Haitian director Raoul Peck, it is a film that must be seen. It is a brilliant and majestic work which documents the extraordinary contributions and self-sacrifice that the 1960's Congolese leader Patrice Emery Lumumba in attempting to safeguard the territorial integrity and tremendous wealth of the Congo against the greed and power plays of the United States of America, CIA  and its allies. Incidentally, he was the Minister of Culture at Haiti during the shortest reign of Patrice Lumumba. The most significant thing is that 2011 completes just historic 50 years since the Communist father figure of Congo Patrice Emery Lumumba was murdered. This is the reminder year to celebrate and remember the undaunted Guerrilla fighter that Lumumba was.

Lumumba: The Death of A Prophet is the depiction of story, the gory and historic one, of the rise to power and brutal assassination of the formerly vilified and later redeemed leader of the independent Congo , Patrice Lumumba. Using newly discovered historical evidence, Raoul Peck renders an emotional and tautly woven account of the “mail clerk and beer salesman” with a flair for oratory and an uncompromising faith in the capacity of his homeland to construct a prosperous nation independent of its former Belgium overlords. Congo , as time of history mirrors, was colonized by Belgian ruling clique. Patrice Lumumba in the context of political upheaval in Congo emerges here as the heroic sacrificial lamb dubiously portrayed by the international media and led to slaughter by the brutish commercial and political interests in Belgium, the United States, the international community, and Lumumba's own administration. It narrates a fierce tale of political intrigue and murder where political entities, pirates of commerce, and the military dovetail in their quest for economic and political hegemony over Congo.

For the entire write up follow the link : http://www.thescape.in/newsdetail.asp?newsid=1981

12 March 2011

A death, pain and pangs of new individuals: Rizwanur Rehman remembered

by Abir Chattopadhyay




 












 
Introduction: Our rights and lives

Be it not with the grand narrative of deaths caused by the dominant authority or even be it not with a research toward the statistical figuration of the lynching deaths caused by the authority or the state power, a painful death of a young man had set a massive uproar in West Bengal three years back, toward ‘against’ an undifferentiable outcome of a power structure that was reported to have gained its momentum in the contemporary time-frame than from its immediate past [history]. The whole narrative of the death tells us a single dimensional story of a young boy Rizwanur Rehman has been put to death after being forcibly interrogated by the Police officials for marrying a Hindu affluent girl Priyanka Todi. His body was found at a railway track, on 21st September, 2007, at 10-30AM(1) that prima facie puts up the issue as a case of suicide and at this moment a subjudice matter though the hue and cry certainly is not. In accordance with the culturation trade off process of postmodernity the narrative was gradually taken care of and sprung up by the media. As soon after the painful death as possible, Rizwan was first identified as the victim of state power by some individualists, like human-rights activists and journalists and of course the political opposition. As the days moved on, a phenomenal and very sensitive cultural segmentation of urban Bengal society came up visible. This segmentation was visible into distinct five categories; the government and its officials [specially Police], press & media, individualists [a ‘handful’ portion of intelligentsia], mercantile people [includes some prospective investors coming in this region and some already gone investors, like Tata etc.], and finally the inevitable common mass [an eternal absorbent of all possible signifieds of mediated message, who lit candles of protest, can pray for justice and do organize movements]. Though the above categories can also be put into two main structures of signification; i.e. mediator and the mass, but like undifferentiated conceptualization of power, a simple massification of people may lead to generate a false consciousness toward getting a radical signification of the text. So the whole narrative, as we the common mass is getting, needs to be analyzed in profound detail. This paper would en-route the ‘death’ toward a definite cultural loss incurred that has resurfaced the underlying cultural fragmentation terminating the spontaneous conception and manifestation of heterogeneity or individuality in a social format where individual human being might act as a social being if that is not an utopian ideation.

 The death of Rizwanur has put forward many questions targeting multifaceted authoritarianism in the society. Most pertinent among them are, the question of both ethnic & religious regimentations and the question of exerting armed power [allegedly done by the police officials while threatening Rizwan and Priyanka](2). At this moment in the whole country [India] number of cases are coming up that assure a massive acculturation toward concentration of administrative power that protects some, may be somewhere, upper caste, or upper class, or aberrant political decoding etc. Moreover against the national agenda of industrialization process in states rather amid competing state governments the common feature of opposition becomes very prone to life-taking exercises where ethnic, religious decodings are predominantly used to oppose the authoritarian narrative that “India needs to be industrially grown to generate employment opportunities!!”. But in every case of movement against the state power the most subversive outcome is the rallying of deaths of common innocent people. Though this paper is nowhere directed to depoliticize every social outcome [both developmental and subversive] but determined also to identify the axiomatic presence of shallow provincial political outlook which is steadily coming up regulate the future of this country.

For the entire write up follow the link : http://www.thescape.in/newsdetail.asp?newsid=1260